স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পক্ষেই সাফাই গাইলেন ওবায়দুল কাদের

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম তথ্য অধিকার আইনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য চাইতে পারতেন, কিন্তু তিনি সেটি না করে তথ্য চুরি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দুর্নীতিবিরাধী সংবাদ প্রকাশে সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের উপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে একথা ঠিক নয়। অফিসিয়াল সিক্রেটস অনুযায়ী তথ্য চুরি করা ঠিক হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে তদন্ত স্বাপেক্ষে তার বিচার হবে।

আজ বুধবার (১৯ মে) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪ দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ৪টি হাসপাতালে ৪টি হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলা ও ৪টি অটিস্টিক সংগঠনে শিক্ষা সহায়তা সামগ্রী বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন, তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছি।

ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারতো বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে অনুমতি ছাড়া করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ মে) তার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। নিজের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ তোলেন রোজিনা। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর তাকে শাহবাগ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সোমবার রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে রোজিনাকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। অন্যদিকে জামিন চান তার আইনজীবী। আদালত জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.