১৫ দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের দুই থানায় করা পৃথক পাঁচটি মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণ মামলাও রয়েছে। পুলিশ ও সিআইডি ৩৮ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির এর আদালত এ আদেশ দেন। এ সময়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়াল আদালতে যুক্ত হন মামুনুল হক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সোনারগাঁও থানায় তিনটি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা দুটি মামলায় বুধবার দুপুরে শুনানি হয়েছে। আদালত ৫ মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। শুনানির সময়ে ভার্চ্যুয়াল আদালতে মামুনুল হক যুক্ত ছিলেন।

গত ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হয় হেফাজত ইসলামের বহিষ্কৃত যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। এ সময়ে তিনি ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন। এ খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তার অনুসারীরা রিসোর্টে হামলা করে মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নেন। এ সময়ে তারা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। ঘটনার পর স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা করে তার অনুসারীরা। এসব ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় দুটি মামলা হয়।

৩০ এপ্রিল কথিত সেই দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, গত দুই বছর ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মামুনুল হক তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করেছেন। এছাড়া সাইনবোর্ড এলাকায় নাশকতা করার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরও দুটি মামলা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.