গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ৩৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ চালানো হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে গাজা টাওয়ার। এটি হামাসের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো বলে ধারণা করা হয়। এই হামলার জবাবে ইসরায়েলের তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে অন্তত ১৩০টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে গাজা উপত্যকায় অব্যাহত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে আল-জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত নিহত ৩৫ জনের মধ্যে ১০ জনই শিশু। মঙ্গলবার মধ্যরাতে তেল আল-হাওয়া এলাকায় একটি ভবনে বোমা হামলায় চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার চার বছর বয়সী শিশু সন্তান নিহত হয়। তার পাশেই হামলায় ভবন ধসে আরও তিন নারী নিহত হন। এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি।

গত সোমবার গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গ্রুপ হামাস। এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অভিমুখে ২০০টিরও রকেট ছুঁড়েছে গ্রুপটি। হামাসের ওই রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

গত বেশকিছুদিন ধরেই গাজা এলাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। রোববার (০৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল আকসায় নামাজ আদায় শেষে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করলে তা দমন করতে তৎপর হয় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।

ওই দিনের সংঘাতে অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষের পর থেকে আল আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি পুলিশ। এর জেরে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দেয় হামাস। দলটি জানায়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।

কিন্তু ইসরায়েলের সরকার এই হুমকিকে আমলে না নেওয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামাস এই হামলা শুরু করার কিছুক্ষণ পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে জেরুজালেমে যে সহিংসতা চলছে তা ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে তীব্র। পূর্ব জেরুজালেম থেকে ইহুদি দখলদাররা ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বিতাড়িত করার হুমকি দেওয়ার পর শুরু হয় বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভ দমনে সহিংসতা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।

সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.