করোনা টিকা উৎপাদনে তিন কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা উৎপাদনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩টি ওষুধ কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কোম্পানিগুলো হচ্ছে ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।

বুধবার (০৫ মে) প্রথম সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংগ্রহ ও বিতরণবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি এই ৩টি কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতার ভিত্তিতে স্কোরিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে চূড়ান্ত সুপারিশ করতে বলেছেন।

কমিটির প্রধান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক–ভি কেনার সরবরাহ চুক্তির জন্য বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সম্ভাব্য পর্যবেক্ষণ সমন্বিত করে দ্রুত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এবং দর–কষাকষি করে সরবরাহ চুক্তি চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়। আপাতত ৬ কোটি টিকা (প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ) দ্রুত সংগ্রহের পরিকল্পনা এবং একক উৎসের পরিবর্তে বহুমাত্রিক উৎস থেকে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য কম ও যৌক্তিক মূল্যে টিকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়।

তবে এর আগে গত ১২ এপ্রিল পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে দেওয়া এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, রাশিয়া স্পুটনিক-ভি টিকা বাংলাদেশে পাঠানো, এ দেশে উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চায়। তার মধ্যে ছিল বাংলাদেশে টিকার চাহিদা কত এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে সক্ষম।

তারপর ১৩ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে টিকা উৎপাদন করতে পারে, এমন ৩ প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠান। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের স্পুটনিক-ভি উৎপাদনের অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ২টি এক থেকে ২ মাসের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.