নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও এক মামলা

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী ইলিয়াস হোসেন নিজেকে একজন সংগীতশিল্পী দাবি করেছেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে নুরুল হকের বিরুদ্ধে এ নিয়ে দুটি মামলা হলো।

আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার ধর্মীয় উস্কানি ও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে এমন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। রোববার রাজধানীর শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম সজীব মামলাটি দায়ের করেন।

ইলিয়াস হোসেনের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল নুর তার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া লাইভ বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে- এমন আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। তার ওই বক্তব্যের নিচে অনেকে লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। ওইসব মন্তব্যের ভেতর সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আছে।

এতে আরও অভিযোগ করা হয়, নুরের বক্তব্য আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানে। তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

নুর ও তার সহযোগী-সমর্থকদের আইনের আওতায় আনা গেলে আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ইলিয়াস হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে তিনি মনে করেন, নুরুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে তিনি যা মন চায়, তা-ই বলতেই থাকবেন। আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের কোনোটির তিনি সদস্য কি না, জানতে চাইলে ইলিয়াস বলেন, তিনি একজন সমর্থক। তার মূল পরিচয় তিনি একজন সংগীতশিল্পী।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.