করোনা রুখতে ভারতের মহারাষ্ট্রে ‘জনতা কারফিউ’

অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে ১৫ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র। তবে শুধুমাত্র লকডাউন নয়, কড়া ‘জনতা কারফিউ’ জারি হয়েছে দেশটির অন্যতম জনবহুল রাজ্যটিতে। মঙ্গলবারার (১৩ এপ্রিল) রাতে প্রশাসনিক এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ১৪৪ ধারা চলবে মহারাষ্ট্রজুড়ে। অর্থাৎ একসঙ্গে ৪ জনের বেশি ব্যক্তি চলাচল করতে পারবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবাদানকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট ছাড়া অন্য সবকিছু বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, ব্যাংক, সংবাদমাধ্যম অফিস, ই কমার্স ও জ্বালানি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

ঘোষণায় উদ্ভব ঠাকরে জানিয়েছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও দোকানপাট খোলা থাকবে, সেখানে কর্মরত ও সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের অবশ্যই করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যদি কেউ এই বিধিনিষেধ অমাণ্য করেন, সেক্ষেত্রে তাকে গুনতে হবে জরিমানা।

ভাষণে উদ্ভব ঠাকরে বলেন, যুদ্ধ আবারও শুরু হয়েছে, এখন আমাদের অ্যাকশনে নামার সময়। নতুন যে নিয়মগুলো চালু করা হলো— আমি একে লকডাউন বলতে চাই না, বরং একে বলা যায় কঠোর বিধিনিষেধ। আমি জানি, সাধারণ জনগণের জন্য রুটি-রুজি রোজগার করা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু জীবনের গুরুত্ব তার চেয়েও বেশি।

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চাপে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগী নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। যেসব রোগী বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছেন, অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে তাদের ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ হাজার ২৪৫ জনের।

সূত্র: এনডিটিভি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.