ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংসতা: জেলা পরিষদের ক্ষতি ৫ কোটি টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে জেলা পরিষদের অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শফিকুল আলম।

আজ রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, গত ২৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে চার/পাঁচ শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও দুষ্কৃতিকারী শহরের কাউতলি এলাকার জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর মেইন গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

‘সেসময় ডাকবাংলোতে তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কেয়ারটেকার কোনো রকমে আত্মরক্ষা করেন। এ ছাড়া বাংলোর তৃতীয় তলার উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিক আতঙ্কে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি রাজধানীতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালের দিনে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসার ছাত্র ও দুষ্কৃতিকারীরা অতর্কিত জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মেইন গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভবনের আঙিনায় থাকা জাতির পিতার ম্যুরালটি ভাঙার চেষ্টা করে। তারা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর-ধ্বংসযজ্ঞ শেষে কার্যালয়ের নিচ তলায় ও গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে দ্বিতীয় তলায় এসে কয়েকটি কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় ও ডাকবাংলো মেরামতে ২ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন। আর সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫ কোটি টাকা।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.