কলকাতার একাদশে থাকছেন সাকিব?

কলকাতা নাইট রাইডার্সে আবার ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। ৬ মৌসুম খেলার পর কলকাতা তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। ২০১৮ আর ২০১৯—এই দুটি আইপিএল সাকিব খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। গত মৌসুমটা নিষিদ্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আইপিএল থেকে দূরে ছিলেন তিনি। এবার কলকাতায় ফিরেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। এবার নিজেদের পুরোনো সৈনিককে কলকাতা যে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করেই ফিরিয়েছে, সেটি বোঝা যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক এউইন মরগানের কথাতেই।

আইপিএলের মূল একাদশে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি খেলার সুযোগ রয়েছে। অধিনায়ক এউইন মরগান ও আন্দ্রে রাসেলের দলে থাকা মোটামুটি নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্সেরও দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাকি একজন কে খেলেবেন সেটা নিয়েই চলছে আলোচনা। সাকিব আল হাসান, সুনীল নারাইন, প্যাট কামিন্স, লকি ফার্গুসন ও টম সেইফার্টের মধ্যে যে কোনো একজন মাঠে নামবেন।

অবশ্য সাকিবের সঙ্গে মূল লড়াই হবে নারাইনের। গতবার এই ক্যারিবীয় তারকা খুব একটা সাফল্য না পাওয়ায় সাকিবকে এবার খেলানো হতে পারে।

গত মৌসুমে ব্যাটে-বলে নারাইনের বাজে পারফরম্যান্স ছিল। ১০ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫ উইকেট নেন। আর ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন প্রায় ৮ করে। ব্যাট হাতে ১০ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটিতে করেন ১২১ রান। তাই এবার বিকল্প হিসেবে সাকিবকে দলে নেয় কলকাতা।

২০১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে ব্যাটে, বলে মেলে ধরেছিলেন সাকিব। এবারের নাইটদের দলের অন্যতম ভরসা হতে পারেন এই বাংলাদেশি তারকা।

কলকাতা অধিনায়ক মনে করেন, দলে সাকিব আসায় বৈচিত্র্য বেড়েছে যথেষ্ট। তিনি কলেন, আইপিএলে ভারতের বিভিন্ন শহরে খেলা হবে। সব মাঠের চরিত্র এক নয়। পরিবেশও এক নয়। সাকিব দলে আসায় বৈচিত্র্য বেড়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে তো বটেই, আইপিএলেও অনেক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আছে তার। সাকিবের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় দল। আশা করি, নিরাশ হব না।

এদিকে, ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে তো রীতিমতো যুক্তি দিয়েই বলেছেন, সাকিবকে কলকাতা এবার কেন নিয়মিত খেলাবে। তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে তাকে ৩ নম্বরে ব্যাটিং করানোর কথাও বলেছেন। ভোগলে সাকিবের পক্ষে সবচেয়ে বড় যে যুক্তি দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স।

সাকিব ৩ নম্বরে যে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন, সর্বশেষ বিশ্বকাপে সাকিবের পারফরম্যান্স সেটিরই প্রমাণ। সেখানে বাংলাদেশের হয়ে খেলা ৮ ম্যাচের ৭টিতেই তিনি ৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। পেয়েছিলেন ২টি সেঞ্চুরি, ৫টি ফিফটি। ৮৭ গড়ে তিনি করেছিলেন ৬০৬ রান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.