সূচকের উত্থান-পতনে সপ্তাহ পার

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থান-পতনে পার করেছে। লকডাউনে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে কিনা এমন দোলাচালে বড় পতন হয়েছে। তবে লকডাউনে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হলেও শেষ কর্মদিবসের আবার বড় পতন দেখতে হয় বিনিয়োগকারীদের। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ১৪.৫৮ শতাংশ।

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ৫ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ কর্মদিবস। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৮ কোটি ৮১ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ২৯৫ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার টাকার বা ১৪.৫৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৮.৩৪ শতাংশ।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা  দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা  দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৯০ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক কমেছে ৪.৮৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৭৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ২০৫টির। আর ৫৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

তবে আশা-নিরাশার দোলাচালেও গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮০ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ৫৫৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩১ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

অর্থসূচক/এসএ/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.