স্ত্রীকে খুশি করতে সত্য গোপনের অবকাশ রয়েছে: মামুনুল হক

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনও সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক এ কথা বলেন।

৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করার ঘটনায় স্থানীয় সরকার সমর্থকেরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। ওই দিন তিনি জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। তা ছাড়া রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি মামুনুল।

ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর মামুনুল হক লাইভে এসে বলেছেন, ‘আমি একাধিক বিয়ে করেছি।’ তিনি দাবি করেন, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। নিজের একাধিক বিয়ের কথা উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। চারটি বিয়ে করলে কার কী?

লাইভে তিনি বলেন, আপনারা যারা আমার ব্যক্তিগত গোপন তথ্যগুলোকে , স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য আচরণগুলোকে প্রচার করেছেন তাদের বলছি আমি কিভাবে আমার স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবো সেটা আমার ধর্মীয় এবং নাগরিক অধিকার। সেই বিষয় অন্য কাউকে নাক গলানর সুযোগ ধর্ম , সমাজ ও আইন আদালত দেয়নি।

তিনি বলেন, যদি একাধিক বিবাহের ওপর কোনো আপত্তি থাকে সেটি থাকবে আমার পরিবারের, আমার স্ত্রীদের। আমি একাধিক বিয়ে করে যদি আমার স্ত্রীদের কোনো অধিকার বঞ্চিত করে থাকি তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কি দেখাতে পারবে যে আমার কোনো স্ত্রী কোথাও এতটুকু অভিযোগ করেছে, আমি তাদের তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছি?

‘সুতরাং আমার স্ত্রীদের অধিকার নিয়ে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে, আমার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী ধরনের হবে কোন স্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে পরিধি কতটুকু জানাবো, কতটুকু জানাবো না সেটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত এখতিয়ার। আমার ব্যক্তিগত এখতিয়ারকে লঙ্ঘন করে যারা আমার ব্যাপারে কোনো আক্রমণাত্মক আচরণ করেছেন, আমি মনে করি তারা আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন এবং আমার নাগরিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছেন।’

হেফাজত নেতা বলেন, আমার স্ত্রীদের সঙ্গে আমার ফোনালাপ একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়, পারিবারিক বিষয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমার সেই ব্যক্তিগত গোপনীয় বিষয়কে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমি আমার ব্যক্তিগত আইন পরামর্শদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছি। অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.