‘হেফাজতের কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না, মিছিল-মিটিং সমর্থন করি’

হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং-মিছিল করাটা সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার।

রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।

তিনি বলেন, রেলস্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও ৩ এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন?

‘রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দেন। সেখানকার এমপি একজন আমলা তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। ’

জোনায়েদ সাকী সংবাদ সম্মেলনে সবার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে নিহত-আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। একই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে সেসব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, মানুষ এখনো কথা বলতে পারে না। সবাইকে এ ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি শিশুর শরীরে গুলিবিদ্ধ অথচ চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না। এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. এনামুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.