হাতিরঝিলে প্রাইভেটকারে স্ত্রীর লাশ, স্বামী আটক

রাজধানীর হাতিঝিলে আমবাগান এলাকায় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে ঝিলিক আলম (২৪) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী সাকিবুল আলমকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় ওই নারী নিহত হয়েছে বলে তার স্বামী দাবি করলেও মৃত্যু নিয়ে এখন রহস্য তৈরি হয়েছে। ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক।

আজ শনিবার (০৩ এপ্রিল) সকালের দিকে হাতিরঝিলের আমবাগানে এলাকায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে যায়। পরে গাড়ির পেছনের সিট থেকে অচেতন অবস্থায় ঝিলিক আলমকে পুলিশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে ঝিলিকের শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে যে দাবি তার স্বামী সাকিব আলম করছেন তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সেখানকার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ওই নারীর পা, মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হলে যে ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, এখানেও সে ধরনের লক্ষণ আছে।

হাতিরঝিলের আমবাগান নামক স্থানে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কার বিষয়ে স্বামী সাকিবুল আলম বলেন, বাসা থেকে প্রাইভেট কার নিয়ে যাওয়ার সময় হাতিরঝিল আমবাগান এলাকায় রাস্তায় আইল্যান্ডের সঙ্গে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি (সাকিবুল আলম) ডান হাতে সামান্য আঘাত পান এবং গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ঝিলিক আলম গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসক ঝিলিককে মৃত ঘোষণা করেন। সাকিবুল জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার এসআই মো. গোলাম কুদ্দুস গণমাধ্যমকে জানান, আমরা সকালে খবর পেয়ে হাতিরঝিলের আমবাগান এলাকায় এসে দেখতে পাই একটা প্রাইভেটকার ফুটপাতে উঠে গেছে। গাড়িটির চাকাও পানচার হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পেছনের সিটে শুয়ে থাকা অবস্থায় এক নারীকে দেখতে পাই। সেসময় সাকিব আলম বলেন, আমার স্ত্রী আহত হয়েছে। পরে তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ঝিলিককে মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই গোলাম কুদ্দুস আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিবকে ঢামেক থেকে আটক করে হাতিরঝিল থানায় নেওয়া হয়েছে। সাকিব পরিবার নিয়ে গুলশান-২ এ থাকেন। তাই বিষয়টি গুলশান থানায় জানানো হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.