রাইড শেয়ারিং বন্ধ: মোটরসাইকেল চালকদের বিক্ষোভ-অবরোধ

দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়কে মোটরসাইকেলসহ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকরা।

আজ বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েশ’ মোটরসাইকেল চালক তাদের মোটরসাইকেল রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকরা। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে প্রধান সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেন অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল চালক।

মোটরসাইকেল চালকরা গণমাধ্যমকে জানান, চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন তারা। সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।

মোটরসাইকেল চালক দ্বীন ইসলাম জানান, রাস্তায় দাঁড়ালেই আমাদের বিনা অপরাধে শুধু শুধু মামলা দেয় পুলিশ। তার ওপর রাইডশেয়ারিং বন্ধের ঘোষণা। আমরা চলবো কীভাবে। চাকরি হারিয়ে আমরা রাইড শেয়ারিংয়ের ওপর নির্ভর করেই সংসার চালাই।

অপর এক মোটরসাইকেল চালক জানান, সব যানবাহন চলছে। বিআরটিসির মতো গাড়িতে ডাবল ডাবল যাত্রী নেয়। সেখানে যদি করোনা না ছড়ায় আমরা একজন যাত্রী নিয়ে কীভাবে করোনা ছড়ায়। এসব অত্যাচার আমরা মেনে নিতে চাই না। তাই আজ রাস্তায় নামলাম আমরা।

এর আগে দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বুধবার (৩১ মার্চ) বিআরটিএর উপ-পরিচালক (প্রকৌশল শাখা) বিমলেন্দু চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য মোটরযানে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের উপরোক্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনাও দিয়েছে বিআরটিএ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.