তীব্র স্রোতের কারণে বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীতে ‘এমভি ইসফসিয়া মাহিন’ নামে ৪০০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই একটি কার্গো ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে পশুর নদীর কাটাখালী এলাকায় কার্গোটি ডুবে যায়। এ সময় কার্গোটিতে থাকা ১০ নাবিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
ডুবে যাওয়া কার্গো এমভি ইসফসিয়া মাহিনের মাস্টার মো. শাহালম জানান, মোংলা বন্দরের হাড়িবাড়িয়ার ৬ নম্বরে থাকা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে রোববার (২৮ মার্চ) সকালে কয়লা বোঝাই করেন তারা। কার্গোটিতে প্রায় ৪০০ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই শেষে সকাল ৯টার দিকে পশুর নদীর বানিশান্তা বাজার বয়ায় অবস্থান নেন। সেখানে থাকাকালে মঙ্গলবার দুপুরে তীব্র স্রোতে বয়া থেকে কার্গোটিতে বাঁধা রশি ছিঁড়ে যায়। এ সময় এমভি ইফসিয়া মাহিনসহ প্রায় ১০-১২টি জাহাজ ওই বয়া থেকে ছুটে যায়। পরে ওই জাহাজগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে যে যার মতো নিরাপদে সরতে থাকে। এ সময় ওই সব কার্গোর মধ্যে একটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ইফসিয়া মাহিনের। এতে ইফসিয়া মাহিনের বাম পাশের হ্যাচ ফেটে গিয়ে পানি উঠতে থাকে। এতে কার্গোটি বানিশান্তা থেকে কাটাখালী এলাকায় ডুবে যায়। তবে কার্গোটির স্টাফ ও এক নিরাপত্তাকর্মী সাঁতরে নদীর তীরে উঠে যান।
তবে ডুবন্ত কার্গোটি পশুর চ্যানেলের বাইরে চরের দিকে ডুবায় মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। ডুবে যাওয়া কার্গোটির কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল। কার্গোটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৫০০ মেট্রিক টন। আর বোঝাই করা হয়েছিল ৪০০ মেট্রিক টন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোংলার পশুর নদীতে ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এমভি বিবি-১১৪৮ নামে একটি সরকারি কার্গো জাহাজ।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.