বড় পরাজয়েও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তাতেও কিউইদের মাটিতে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহরা।

যদিও হ্যামিল্টনে রবিবার বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ প্রথম ওভারে কেবল ১ রান দিয়ে তুলে নেন ফিন অ্যালেনের উইকেট। এরপর মার্টিন গাপটিলকেও ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু অন্য বোলাররা নাসুমের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়। এরপর বরাবরের মতো ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা সঙ্গে হতশ্রী ফিল্ডিং। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৬৬ রানের ব্যবধানে হার দেখতে হয়।

এমন হারের পর মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় এটি তরুণদের জন্য ভালো একটি সুযোগ, বিশেষ করে নাইম শেখ, আফিফ, দুজন অভিষিক্ত ছিল আজকে তাদের জন্য। এটি তাদের জন্য সুযোগ বিশ্বকে দেখানোর, তারা কতটা ভালো। হ্যা আমরা হয়ত সব সময় সব অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের একসঙ্গে পাবো না, কিন্তু আমাদের সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। কাউকে এগিয়ে আসতে হবে এবং দেখাতে হবে যে সে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।’

মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় আমাদের সুযোগ ছিল। শুরুতে আমরা উইকেট নিয়েছি, রান রেট সাতের নিচে ছিল। আমার মনে হয় বোলাররা ভালো বোলিং করেছে, বোলারদের দোষ দিতে পারছি না। কিছু মিসফিল্ডিং বাউন্ডারি দিয়ে দিয়েছে। ১৯০ রান হলে সেটি তাড়া করে জেতা যেত। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি উইকেট হারানো ম্যাচ জেতায় কোনো সাহায্য করে না, যা আমরা বারবার করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা ইতিবাচক দিক আমি নিতে চাই, যে ইন্টেন্টটা ছিল, যা দেখতে পাওয়াটা ভালো ছিল। টি-টোয়েন্টিতে ১০০-১২০ রানে অল আউট হতেই পারেন। কিন্তু অন্তত আপনি যদি দেখাতে পারেন যে আপনি জিততে চান, তাহলে আমাদের সুযোগ থাকতেও পারে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.