বাংলাদেশ ফ্রান্সের ঐতিহাসিক বন্ধু: ফরাসি সিনেটর

বাংলাদেশ ফ্রান্সের ঐতিহাসিক বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন ফরাসি সিনেটর ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ ফর সাউথ ইস্ট এশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেকোলিন ডেরোমেডি। একইসঙ্গে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

শনিবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার চতুর্থ দিনের আয়োজনে ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

শনিবার চতুর্থ দিনের আলোচনার প্রতিপাদ্য ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’। এ আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। দিনের প্রতিপাদ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

আলোচনা পর্বে এর আগে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিনের ভিডিও বার্তা প্রচারিত হয়।

জেকোলিন ডেরোমেডি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এখানে চলমান সময়ে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রতিবছর এ দেশে ২০ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। এদের দক্ষ জনগোষ্ঠীতে পরিণত করে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।

ফ্রান্স বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হয়ে আছি।

আলোচনা পর্ব শেষে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাতে রয়েছে বন্ধু রাষ্ট্র জাপানের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আয়োজন, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, সমসাময়িক শিল্পীদের পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুর পছন্দের গান, থিমেটিক কোরিওগ্রাফি ও দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনা।

আগামী রোববার (২১ মার্চ) পঞ্চম দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিপাদ্যের ওপরে আলোচনায় অংশ নেবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচনা পর্বে জর্ডানের বাদশার পক্ষে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.