মওদুদের মরদেহ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফখরুল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ গ্রহণ করতে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মওদুদ আহমদের নামে ৩২টি হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি দক্ষ একজন রাজনীতিক ছিলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের চলে যাওয়া দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

তিনি বলেন, মওদুদ আহমদের চলে যাওয়া শুধু বিএনপি নয় সমগ্র জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হলো, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার করে পূরণের চেষ্টা করা হবে।

এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ জনি, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, প্রকৌশলী মো. ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যা ৬ টা ৩ মিনিটে মওদুদ আহমদের মরদেহবাহী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, বিমানবন্দর থেকে মওদুদ আহমদের মরদেহ তার গুলশানের বাসায় নেওয়া হবে। এরপর মরদেহ এভার কেয়ার হসপিটালের হিমঘরে রাখা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির এ নেতা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.