ইটের বদলে পাটকেল ছুড়তে চান ডমিঙ্গো

নিউজিল্যান্ডে মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ২৬ ম্যাচ। যেখানে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি সফরকারীরা। এমনকি কোন অনুশীলন ম্যাচেও নেই সাফল্য। এছাড়া পেসারদের জন্য সুবিধা থাকায় ৭ পেসার নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরের দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেনের সঙ্গে শরিফুল ইসলাম-হাসান মাহমুদদের মতো তরুণ পেসাররাও রয়েছে। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও রয়েছেন। অভিজ্ঞদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দলে জায়গা পাওয়াটা কিছুটা কঠিন হবে হাসান-শরিফুলের জন্য। নিউজিল্যান্ডও হয়তো তাঁদেরকে হয়তো একাদশে দেখার প্রত্যাশা করছেন না।

এদিকে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, ম্যাট হেনরি ও জেমি নিশামের মতো পেসাররা বরাবরই হুমকির কারণ। কিউই পেসারদের সামলাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও বেশ বেগ পেতে হবে। যে কারণে পরিকল্পনা বড় অংশ জুড়ে জায়গা পাবে কিউই পেসাররা। যদিও নিউজিল্যান্ডের ইটের বদলে পাটকেল ছুড়তে চান বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদের মতো পেসারদের দিয়ে কিউইদের চমকে দিতে চান তিনি।

এছাড়া নিউজিল্যান্ডে এর আগে বাংলাদেশ যা করেনি সেটা করার দারুণ সুযোগ রয়েছে জানিয়ে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের বেশ কজন তরুণ পেস বোলার উঠে আসছে, নিউজিল্যান্ড হয়তো ওদের আগে সেভাবে দেখেনি। আমার ধারণা, তারা হয়তো এই পেসারদের দেখার আশাও করছে না। কিন্তু ওরা দারুণ সম্ভাবনাময়। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরা বেশ দারুণ বোলিং করছে। যে পেস বোলাররা এখন উঠে আসছে, তাদের নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’

২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে মাঠে গড়াবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টের এখনও বছর তিনেক বাকি থাকলেও পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত ডমিঙ্গো। ভারতের মাটিতে নিজেদেরকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত করতে চাইলে নিউজিল্যান্ডের মতো বড় সিরিজে পারফর্ম করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের সঙ্গে মাঠের ছোট বাউন্ডারি। যে কারণে বরাবরই রানের জোয়ার দেখা যায় ডানেডিনে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও এখানেও দুইশোর অধিক রান দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে ডমিঙ্গো বলেন, ‘প্রচুর রান হবে। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ অনুসরণ করছিলাম আমি। এই মাঠের গড় রান সম্ভবত ৩০৭। কয়েকটি দিকের বাউন্ডারি বেশ ছোট, ৬৫ মিটারের মতো। আমরা আশা করছি, বেশ রান হবে এখানে।’

নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়ে প্রতিপক্ষকে। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে কিউইদের দেশে এবারই প্রথম সফর করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সফর করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। যে কারণে সেখানে পারফর্ম করা কতটা কঠিন সেটা বেশ ভালো করেই জানা রয়েছে ডমিঙ্গোর।

আসন্ন এই সিরিজে ৩টি ওয়ানডে এবং সমানসংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। টেস্টে বা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের এখনও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে টাইগাররা বেশ সমীহ জাগানিয়া দল।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.