ইউরিন সংক্রমণে যা করণীয়

ইউরিনে ইনফেকশন পরিচিত একটি সমস্যা। গরমের সময়ে এ সমস্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় এই অসুখের প্রবণতা নারীদের বেশি। আর আমাদের দেশে বিভিন্ন অসুখের জীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক জ্ঞানের অভাবে বেড়ে যায় ইউরিন ইনফেকশনের মাত্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক সময়ে এ সমস্যার চিকিৎসা না করালে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ইউরিনে সংক্রমণ হলে নানা উপসর্গের মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়। যেমন-

১. বার বার প্রস্রাবের জন্য চাপ অনুভূত হওয়া।

২. প্রস্রাবের সময় মূত্রনালীতে জ্বালাপোড়া ভাবের সৃষ্টি।

৩. ঘন এবং অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হওয়া কিংবা প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ হয়ে যাওয়া।

৪. প্রস্রাবের রঙ লাল হয়ে যেতে পারে বা প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্ত বার হওয়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে

৫. প্রস্রাবের আগে বা পরে মূত্রনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি বা জ্বালাপোড়া তৈরি হতে পারে।

এ ধরনের সমস্যা হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিরাময়ের চেষ্টা করতে পারেন। যেমন-

১. প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন এবং ঠান্ডা জাতীয় পানীয় খান। এতে প্রস্রাবের রঙ যেমন ঠিক থাকবে তেমনি প্রস্রাব পাতলা হবে। প্রচুর পানি পানে ঘন ঘন প্রস্রাব পেলেও সমস্যার কিছু নেই। এতে শরীরের বর্জ্য পদার্থ ও জীবাণু বেরিয়ে যাবে।

২. ইউরিনের সংক্রমণ হলে ক্যানবেরি জুস পান করতে পারেন। এ ধরনের সমস্যা নিরাময়ে এটি বেশ উপকারী।

৩. নিয়মিত গোসল করুন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।

৪. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৫. যারা অতিরিক্ত ঘেমে যান, তারা নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৬. ইউরিনে সংক্রমণ হলে অনেক চিকিৎসক রোগীকে দৈনিক ৫ হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভিটামিন সি মূত্রথলি ভালো রাখে এবং প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব কমাতে সহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই ইউরিনে সংক্রমণ হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

৭. আনারসে ব্রোমেলাইন নামক এক ধরনের উপকারী এনজাইম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরিন সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীকে সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তাই ইউরিন সংক্রমণ হলে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণে আনারসের রস খান।

অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.