মাদকসেবীদের ছাড়াতে গিয়ে জেলে গেলেন কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা

পাঁচ মাদকসেবীকে আটকের পর তাদের হাজির করা হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতে। খবর পেয়ে সেখানেই তাদের ছাড়াতে গিয়েছিলেন পৌরসভার এক কাউন্সিলর এবং এক যুবলীগ নেতা। তখন পাঁচ মাদকসেবী চম্পট দেন। পরে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে আনে পুলিশ। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ মাদকসেবীর সাথে পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতাকে কারাদণ্ড দেন।

সোমবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত কাউন্সিলরের নাম শহীদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আর যুবলীগ নেতার নাম গোলাম কাউসার মাসুম (৩৮)। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাদের দুজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ মাদকসেবী হলেন- রামনগর মহল্লার হুমায়ুন কবীরের ছেলে সাদ্দাম (২০), মনিরুল ইসলামের ছেলে সাব্বির (২০), আলম আলীর ছেলে সজিব (২০), চাঁইপাড়া মহল্লার দুরুল হুদার ছেলে রিফাত (২১) এবং বুজরুক রাজারামপুর মহল্লার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (২০)। তাদের প্রত্যেককে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় পাঁচ মাদকসেবীকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন নাহারের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেখানেই তাদের ছাড়াতে যান কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা। এ সময় সেখান থেকেই পালিয়ে যান পাঁচ মাদকসেবী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিকালে গাঁজা ও ফেনসিডিল সেবনের সময় পাঁচ মাদকসেবীকে আটক করে জেলা মাদকদ্র্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গোয়েন্দা ইউনিটের একটি দল। এরপর তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা তাদের ছাড়াতে যান। তারা এদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারকে চাপ দিচ্ছিলেন। এই সুযোগে পাঁচজন পালিয়ে যায়। এ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুইজনকে আটকে রাখেন। পরে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে আনে। এরপর ইউএনও’র ভ্রাম্যমাণ আদালত সাতজনকেই সাজা দেন।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পাঁচ আসামি পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা খবর পেয়ে আসামি উদ্ধার করে দিয়েছি। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা হলে রাতেই সাতজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.