করোনা কালেও মুনাফা করেছে গ্রামীণ ব্যাংক

করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক। গত বছর মহামারিতে তিন মাস কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও ব্যাংকটি ৩৪৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এরমধ্যে ঋণ আদায়ের হার ৯৫ শতাংশ, টাকার অঙ্কে যা ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৪২ কোটি।

সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এশিয়ায় মধ্যে একমাত্র ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। এটা জাতির গর্ব। করোনা সময় সংগ্রামী সদস্যদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং সদস্যদেরকে মাস্ক সরবরাহ, সহকর্মীদেরকে স্যানিটাইজারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের পাশে থেকে শক্তিসাহস যুগিয়েছে। তখন ধারণা করা হয়েছিল ব্যাংক হয়তো লোকসান হবে। তিন মাস পর যখন কিস্তি আদায় শুরু হয় আদায়ের হার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আগস্ট থেকে বেশ উন্নতি হয়। ব্যাংক লাভ করতেও সক্ষম হয়।

পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বলেন, এ পর্যন্ত ২০ হাজার ১২৫ জন ভিক্ষুককে সুদ ছাড়া ঋণ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ২০৯ জনের মধ্যে। নবীন উদ্যেক্তা ঋণ দেওয়া হয়েছে ৬৭৩ জনকে। গৃহ নির্মাণ ঋণ ১১ হাজার ৭৭১ জনকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিনিয়োগ বিতরণ সংখ্যা (১ লক্ষ টাকার উপরে) ৮৬ হাজার ৩৬১টি। এছাড়াও রয়েছে দৃষ্টি নন্দন নিজস্ব ভবন ১৬৭টি।

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল খায়ের মো. মনিরুল হক জানান, করোনা শুরুর আগে ঋণ আদায়ের হার ছিল ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ। করোনার মধ্যে ২০২০ সালে ঋণ আদায় খুব কঠিন ছিল। সহকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম সদস্য ও ঋণ গ্রহীতাদের সহযোগিতায় আদায়ের হার দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণ ব্যাকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিদায়ে কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল। কর্মী ও সদস্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় ব্যাংকের ধারাবাহিককতা রক্ষা হয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম খান বলেন, আমদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ঋণের তুলনায় সঞ্চয় অনেক বেশি। তিন মাস বন্ধ থাকার পর জুন মাসে যখন কিস্তি আদায় শুরু হয় তখন আদায়ের হার ৮০ শতাংশের নীচে ছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আদায়ের হার ৯৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে আনা হয়।

অর্থসূচক/এনএইচ/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.