করোনার টিকা নিতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’!

হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে গিয়েছিলেন পটুয়াখালীর দশমিনায় অবস্থিত আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা আক্তার (৩৫)। তবে তিনি টিকা নিতে পারেননি, কারণ ভোটার তথ্য হালানাগাদে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে।

রোববার (১৪ মার্চ) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি টিকা নিতে যান। তবে ভোটার তথ্য হালানাগাদে মৃত দেখানোয় তাকে টিকা দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারির প্রাথমিকের ইএফটির তথ্য দিতে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান সালমা আক্তার। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত! তাই তার ভোটার আইডি কার্ডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন এই শিক্ষিকা। বর্তমানে তার বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। এখন ভোটার আইডি কার্ড না থাকায় করোনার টিকাও দিতে পারছেন না তিনি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সালমা আক্তার নামে ওই শিক্ষিকা ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৫নং চরহোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে উপজেলা সদরের ১৩৬ নং কাটাখালী গাজী বাড়ি সংলগ্ন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। চরহোসনাবাদে চাকরি করার সময় ২০১৫ সালের দিকে তার ভোটার তথ্য হালানাগাদে ভুল তথ্য দিয়ে মৃত দেখান একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন।

তথ্য হালানাগাদে দেখানো হয় ২০১৫ সালের ৩০ জুন তিনি মারা গেছেন। আর এসব ভুল তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই স্বাক্ষর করে দেন ভোটার তথ্য হালানাগাদের দায়িত্বে থাকা শনাক্তকারী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম এবং ভোটার তথ্য হালানাগাদের ৩নং ওয়ার্ডের সুপারভাইজার মো. হোসেন আহাম্মদ।

তথ্য সংগ্রহের সময় বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.