সর্বোচ্চ অস্ত্র বিক্রেতা আমেরিকা, ক্রেতা সৌদি

বিশ্বে যত অস্ত্র বিক্রি হয়, তার এক তৃতীয়াংশ হয় আমেরিকা থেকে। আর আমেরিকা যে অস্ত্র বিক্রি করে, তার অর্ধেক কেনে মধ্যপ্রাচ্য। রিপোর্টটা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি)।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকা ২০০১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে যা অস্ত্র বিক্রি করত, এখন তার তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি করে। ২০১৬ থেকে ২০২০-র মধ্যে বিশ্বে মোট যত অস্ত্র বিক্রি হয়েছে, তার ৩৭ শতাংশ করেছে আমেরিকা। মোট ৯৬টি দেশে অস্ত্র বিক্রি করেছে তারা। আর তাদের অস্ত্রের সব চেয়ে বড় ক্রেতা হলো মধ্যপ্রাচ্য। আমেরিকার অর্ধেক অস্ত্রই যায় সেখানে। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে সৌদি আরব। এছাড়া তারাই বিশ্বের সব চেয়ে বড় অস্ত্রের ক্রেতা।

২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়েনি। তার আগের এক দশক ধরে অবশ্য অস্ত্র বিক্রি সমানে বেড়েছে। এটা হওয়ার মূল কারণ, চীন ও রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা কমেছে। রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ কম হওয়ার কারণ, ভারত সেদেশ থেকে অনেক কম অস্ত্র কিনছে। ফলে আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি থেকে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও সামগ্রিকভাবে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়েনি। বিশ্বে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে এক নম্বরে আমেরিকা, দুইয়ে রাশিয়া, তিনে ফ্রান্স।

২০১৬ থেকে ২০২০-র মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র কেনার পরিমাণ তার আগের দশ বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আর সৌদি আরব এখন বিশ্বের সব চেয়ে বড় অস্ত্র ক্রেতা। তাদের অস্ত্র কেনার পরিমাণ ৬১ শতাংশ বেড়েছে। কাতারের অস্ত্র কেনার পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি আমেরিকার কাছ থেকে ৫০টি এফ-৩৫ জেট কেনার জন্য চুক্তি করেছে। তারা ১৮টি সশস্ত্র ড্রোনও কিনছে। দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে এই অস্ত্র কিনছে আমিরাত।

এশিয়া ও ওশিয়ানিয়ার দেশগুলি বেশি অস্ত্র কেনে। ২০১৬ থেকে ২০২০-র মধ্যে অস্ত্রের ৪২ শতাংশ কেনা হয়েছে এখান থেকে। কিনেছে ভারত, চীন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও পাকিস্তান।

সিপরি-র এক সিনিয়ার গবেষক বলেছেন, এশিয়া, ওশিয়ানিয়ার অনেক দেশই চীনকে বিপদের কারণ বলে মনে করে। তাই তারা অস্ত্র কিনছে।

সিপরি জানিয়েছে, করোনার ফলে অস্ত্র কেনাবেচা কমেছে কি না, তা বলার সময় এখনো আসেনি। তাদের মতে, করোনা প্রতিটি দেশের অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে। তাই অনেক দেশই হয়ত অস্ত্র কেনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে, করোনার প্রকোপ যখন সব চেয়ে বেশি ছিল, তখনো কিছু দেশ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনার জন্য চুক্তি করেছে। সূত্র: রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.