‘ট্রাভেল মার্কেট প্রসারে ভূমিকা রাখবে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’

প্রযুক্তি উন্নয়ন বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইনে ভ্রমণ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ট্রাভেল মার্কেটে এক বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। তবে, নতুন এই ধারার সঠিক এবং সুস্থ বিকাশের জন্য সরকারের তরফ থেকে পলিসি সাপোর্ট এবং কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

আজ, ৯মার্চ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে আয়োজিত “ভ্রমণ ও প্রযুক্তিঃ বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর উত্থান” শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ বক্তারা অনুরূপ মত প্রকাশ করেন। এভিয়েশন এবং ভ্রমণ বিষয়ক প্রকাশনা দা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত এই সেমিনারে সহায়তা প্রদান করে সিটি ব্যাংক লিঃ, ইস্টার্ন ব্যাংক লিঃ, ইনোগ্লোব, জিডিএস কোম্পানী – স্যাবার, অ্যামাডিয়াস এবং গ্যালিলিও।

দু’টি সেশনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, পরিচালক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স; রিজওয়ান রহমান, প্রেসিডেন্ট, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি; মনসুর আহমেদ কালাম, প্রেসিডেন্ট, এসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অফ বাংলাদেশ; এম. শাহাদাত হোসেন তাসলিম, প্রেসিডেন্ট, হজ্জ এজেন্সীস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ; আলমাস কবীর, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস; শমী কায়সার, প্রেসিডেন্ট, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ প্রমূখ।

সেমিনারে দু’টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয় – বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর উত্থান শীর্ষক মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বাংলাদশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ভ্রমণ ও প্রযুক্তি শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টার্টআপ বাংলাদশ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী টিনা জাবিন।

ওয়াহিদুল আলম তার বক্তব্যে জানান যে, বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর আবির্ভাব ২০১৭ সালে হলেও বর্তমানে ৫০টির অধিক এ জাতীয় এজেন্সী সক্রিয় রয়েছে। ২০১৯ সালের এক ভবিষ্যত বানী অনুযায়ী ২০০৫ সাল নাগাদ এই এজেন্সীগুলোর মার্কেট শেয়ার দাঁড়াবে প্রায় ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমানে অনলাইন এই ট্রাভেল এজেন্সীগুলো শুধুমাত্র টিকিট বুকিং সেবাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি তাদের অন্যান্য সেবাও রয়েছে যেমন হোটেল বুকিং, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদি।

তিনি আরো জানান যে বাংলাদেশের ১৬কোটি ৪৫লক্ষ জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশই বর্তমানে ইন্টার্নেট সেবার আওতায় এসেছে। দেশের ই-কমার্স মার্কেটের পরিমান প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, দেশে প্রতি মাসে ব্যাংক ট্রান্সফারের সংখ্যা প্রায় ১৯লক্ষ, দৈনিক কার্ড ট্রানজেকশনের সংখ্যা ৬৮৫,০০০, দৈনিক অনলাইন অর্ডারের সংখ্যা ৪০হাজার, বাৎসরিক ডিজিটাল পেমেন্টের পরিমান ৯৭.৪মিলিয়ন মার্কিন ডলার, প্রতিদিন মোবাইল ফোনে আর্থিক লেনদেনের সংখ্যা ৯৫লক্ষ এবং এর পরিমান ১৭৩.৫মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়াহিদুল আলমের মতে এমন একটি অনুকুল পরিবেশে বাংলাদেশে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর বিকাশ দ্রুত গতিতেই ঘটবে।

সেমিনারে দু’টি প্যানেল ডিসকাশনেরও আয়োজন করা হয়, যাতে আলোচক হিসেবে এয়ারলাইন, জিডিএস কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সীর প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.