নির্যাতনের অভিযোগে মামলার আবেদন কার্টুনিস্ট কিশোরের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করেছেন কাটুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর।

আজ বুধবার (১০ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে কিশোর নিজেই এই মামলার আবেদন করেন।

২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে এই মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন।

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর বলেন, আমাকে আটকের পর নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে মামলা নেওয়ার আবেদন করেছি।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে মামলার আবেদনে কারও নাম উল্লেখ করেননি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সামলাটি আদেশের জন্য রেখেছেন।

এর আগে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ও কার্টুনিস্ট কিশোরের অসুস্থতার কথা জানিয়ে তার জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

জামিনের পর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে গত ২১ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদ। ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান লেখক মুশতাক আহমেদ। ১ মার্চ এই আবেদন শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। সেদিন মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। আদালত মুশতাকের বিষয়ে লিখিত হলফনামা দিতে বলেন এবং কিশোরের জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভুঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তখন ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। সেই মামলায় দুইজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.