মানুষ যেভাবে কক্সবাজার যাচ্ছে সংক্রমণ তো বাড়বেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইদানিং আমাদের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি মাস্ক না পরি, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখি, সংক্রমণ তো বাড়বেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে কক্সবাজার যাচ্ছে, সিলেটে যাচ্ছে, যেভাবে সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, মাস্ক পরার বালাই নাই, সামাজিক দূরত্বের বালাই নাই— সংক্রমণ তো বাড়বেই। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে আগের তুলনায়।

আজ মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বছরব্যাপী যক্ষ্মা সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এখন কিন্তু আমাদের আবারও সজাগ হতে হবে। করোনা কিন্তু চলে যায়নি। করোনা যখন যাবে, তখন আমরা সবাই জানবো। শুধু বাংলাদেশ না, গোটা পৃথিবী থেকে দূর হলে বাংলাদেশ নিরাপদ হবে। কাজেই এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েই ভাবা উচিত না যে করোনামুক্ত। ভ্যাকসিন নিলেই করোনামুক্ত হবে না। ভ্যাকসিন একটা সুরক্ষা।

তিনি আরও বলেন, করোনা দেখিয়ে দিলো স্বাস্থ্য খাতে মনোযোগী না-হলে পৃথিবীর কোনও উন্নয়ন- অগ্রগতি সম্ভব না। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ১০ বছরের যতটুকু এগিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আবারও এক করোনা ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পুরো পৃথিবীর অঙ্কে সময় লাগবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব দেশ পেয়েছিল বলে বাংলাদেশ ভালো আছে। অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভালো আছে। ধনাত্মক সুচকে আছে দেশ, পৃথিবীর অনেক দেশ ঋণাত্মক সুচকে চলে গেছে। করোনা আজকে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে সবধরনের স্বাস্থ্যসেবা আমরা আবারও দিতে পারছি। আমরা জানি, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়েছে করোনার কারণে। আমরা সবজায়গায় সেবা সেভাবে দিতে পারিনি করোনার কারণে। কিন্তু এখন আমরা আবারও বাউন্সব্যাক করেছি। সবক্ষেত্রে বাউন্সব্যাক করেছি।

যক্ষ্মায় আমাদের ভালো সাফল্য রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রতি লাখে ৫৪ জন মারা যেত যক্ষ্মায়, এখন সেটা নেমে এসেছে ২৪ জনে। এখন তো ৩৬ হাজার মৃত্যু আমাদের কাছে কাম্য না। আমাদের এখনও যক্ষ্মা রোগী আছে তিন লাখ। প্রত্যেক বছর দেড় লাখ নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে। আমাদের সাস্থ্যসেবায় যেহেতু অনেক কাজ হচ্ছে সরকারি বেসরকারিভাবে, সেই কারণে আমাদের সুস্থতার হার বেশ ভালো আছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে- আমরা সমস্যাকে ফেলে রাখিনি, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সবসময় গাইড করেছেন, অর্থের জোগান দিয়েছেন। আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি এখন, আমাদের আশেপাশে অনেক দেশ আছে তারা এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। এখনও সেভাবে রোলআউট করতে পারেনি জনগণের কাছে। আমরা প্রায় ৪০ লাখের কাছাকাছি ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছি এবং ৫০ লাখের বেশি নিবন্ধন হয়ে গেছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.