৪১তম বিসিএস পরিক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে পিএসসির নির্দেশনা

৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। শনিবার (৩ মার্চ) স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি রবিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া এবং পরীক্ষায় সবার সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানায় পিএসসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৯ এর বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রিলিমিনারি টেস্টে (এমসিকিউ টাইপ) বই-পুস্তুক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইজ, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ্য কোনও ডিভাইজ, গহনা ও ব্যাগসহ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা নিষেধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পরীক্ষা হল গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেট্রনিক ডিভাইজসহ নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাসির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।

পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধসমগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে।

পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনও আবরণ রাখবেন না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনও ধরনের হেয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ আগে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনও পরীক্ষার্থীর নিকট বর্ণিত নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ অনুযায়ী বিধিভঙ্গের কারণে পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নেওয়া সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

পরীক্ষায় নিষিদ্ধসামগ্রী না রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানায় পিএসসি।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৪১তম সাধারণ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা চার লাখ ৭৫ হাজার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালে নভেম্বরে। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে আবেদন জমা জমা নেওয়া হয় ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

প্রার্থীদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন, প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টা। প্রতি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর, তবে ভুল উত্তর দিলে ০.০৫ নম্বর কাটা যাবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.