বিএনপির ৭ মার্চের কর্মসূচি ভণ্ডামি: কাদের

বিএনপি ৭ মার্চের কর্মসূচি পালন করছে যা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ইতিহাস বিকৃতির আস্ফালন, যা জাতিকে হতাশ করেছে। তাদের কর্মসূচি লোক দেখানো। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করে এখন বিএনপি ৭ মার্চের কর্মসূচি পালন করছে যা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

আজ শনিবার (০৬ মার্চ) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ৭ মার্চের কর্মসূচি সফল করতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন সমৃদ্ধির পথে তখন একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশে বিদেশে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

জনগণ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে যাবার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে একজন নেতার ওদ্ধর্ত্যপূর্ণ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সাথে সঙ্গতি রেখে ২৬ মার্চের কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

২৬ মার্চ ২০২১ থেকে পরবর্তী ২৬ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়া হবে।

২৬ মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসবেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভিত গড়ে দিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসন ও দেশবিরোধী অপশাসনে পিষ্ট হতে হয়েছে। দেশকে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের কাতারে দাঁড় করিয়েছে। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সেখান থেকে তুলে উন্নত দেশের কাতারে যুক্ত করছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দীর্ঘ প্রতিবন্ধকতা ও বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিডিপির সকল শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। তার সুনিপুণ পরিকল্পনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশের কাতারে সামিল হতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতার কন্যার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

যৌথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সায়েম খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতারা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.