ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি তৈরি পোশাক খাত

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি দেশের তৈরি পোশাক খাত। আলোচ্য সময়ে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রফতানি কমেছে পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। চলতি ফেব্রুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৩১৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের, যা এর আগের অর্থবছর ছিল ৩৩২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি ফেব্রুয়ারিতে রফতানি কমেছে ১৩ কোটি ৬ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১১০ কোটি টাকার।

তবে চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই’২০ থেকে ফেব্রুয়ারি’২১) ২০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করে মাইলফলক স্পর্শ করেছে তৈরি পোশাক খাত। কিন্তু ২০১৯ সালের জুলাই থেকে টানা ১৮ মাস লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারেনি ওভেন (শার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেটসহ শৌখিন আইটেম)। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গত সাত মাসে এ খাতে এক হাজার ৮৪০ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বুধবার (০৩ মার্চ) প্রকাশিত রফতানি আয়ের তথ্যে দেখা যায়, করোনার মধ্যেও দেশের পণ্য রফতানি খুব একটা খারাপ করেনি। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ডলার বা ১ লাখ ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে। তবে এই আয় তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক শূন্য ৪৫ শতাংশ কম।

ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছর শেষে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ডলার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬৮৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এই আট মাসে রফতানি আয় এসেছে ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছিল ২ হাজার ৬২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার। সে হিসাবে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

অর্থসূচক/আরএ/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.