অনুতপ্ত ওয়ার্নার

গত বছরের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কুঁচকির চোটে পড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই চোটের কারণে খেলতে পারেননি সিরিজের বাকি তিন ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। এমনকি প্রথম দুই টেস্টেও তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল।

ইনজুরি থেতে শতভাগ সেরে না উঠেও তৃতীয় টেস্ট দিয়ে ফিরেছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু ঐ টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ৫ এবং ১৩ রান। আর শেষ টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১ ও ৪৮ রানের ইনিংস। এরপর অজিরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও দলে নেই ওয়ার্নার।

ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের পর অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট মার্শ কাপের ম্যাচে আবারো মাঠে নামতে যাচ্ছেন এই অজি ব্যাটসম্যান। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্নার বলেন, ‘ওই টেস্ট দুটি খেলার সিদ্ধান্ত আমারই ছিল। মনে হয়েছিল, মাঠে নেমে ছেলেদের পাশে থাকা দরকার। এখন পেছন ফিরে তাকিয়ে মনে হয়, সম্ভবত এটা করা উচিত হয়নি আমার। চোট নিয়ে যে অবস্থায় আছি, সেটিই আমাকে একটু পিছিয়ে দিয়েছিল। যদি নিজের কথা শুধু ভাবতাম, তাহলে হয়তো তখন ‘না’ করতাম। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, দলের আমাকে প্রয়োজন, আমি ওপেন করতে পারলেই দলের জন্য সবচেয়ে ভালো হয়।’

কিছুদিন আগে ওয়ার্নার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, করোনাকালীন সময়ে কোয়ারেন্টিন, জৈব-সুরক্ষা বলয়, পরিবার থেকে লম্বা সময় দূরে রাখা, এসব কারণ মিলিয়ে কোনো একটি সংস্করণ থেকে তিনি অবসর নিতে পারেন। তবে আপাতত সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছেন জানিয়ে ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘শেষ নিয়ে আমি মোটেও ভাবছি না। আমার ভাবনা এখন ২০২৩ বিশ্বকাপকে ঘিরে। আমাদের সাদা বলের দলটির ভিত্তি বেশ শক্ত। ভারতে ভালো করার ও জয়ের ভালো সম্ভাবনা আমাদের আছে। দলের বেশ কজনেরই হয়তো এটি হবে শেষ বিশ্বকাপ। এরপর নিশ্চিতভাবেই আমাদের থামতে হবে, যদি না কেউ ৪১ বছর পর্যন্ত খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে চাইব, যতদিন সম্ভব খেলে যেতে। সামনে অনেক খেলা আছে আমাদের। আমার জন্য তাই ব্যাপারটি হলো, যতটা সম্ভব ফিট ও ভালো থাকা এবং পরিবারের সঙ্গে ক্রিকেটের সমন্বয় করা।।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.