মুশতাকের মৃত্যুর কারণে আইন বাতিল করতে হবে কেন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করে লাভ হবে না। তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তের কমিটির রিপোর্টে সব বেরিয়ে আসবে। তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু একজনের মৃত্যুর কারণে ওই আইন বাতিল করতে হবে? এটা তো আইনের দোষ না।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এটিএম শামসুজ্জামানের শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ এই আইনে মুশতাক কারাগারে ছিলেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই সূত্র ধরে বলা হচ্ছে, এই আইন বাতিল করতে হবে। অন্য আইনে যারা কারাগারে যায়, সেই আইনে যদি কারাগারে তারও মৃত্যু হয়, তাহলে কি সে আইনগুলোও বাতিল করতে হবে? সে প্রশ্নটাও এসে যায়।

তিনি বলেন, আইন তো সবার জন্য। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সাংবাদিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, গৃহিণীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, কৃষকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কারও চরিত্র হনন হলে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। অবশ্য এই আইনের অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য আমরা সর্তক আছি। অপপ্রয়োগ হওয়া কাম্য নয়।

একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে নিয়ে প্রতিদিন মিডিয়া সরগরম। মিডিয়াকে সরগরম রাখছে একটি পক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন,  প্রতিদিন প্রেস ক্লাবের সামনে নানা ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে ৪ জাতীয় নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর বিপদগামী সদস্যরা সেখানে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল। তখন সেনাপ্রধান ছিল জিয়াউর রহমান। খন্দকার মোশতাকের নির্দেশে জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করা হয়েছিল। আজকে সেই কথা কেউ বলে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের পর কারাগারের অভ্যন্তরে বহু জনকে নির্যাতন করে হত্য করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে কারা অভ্যন্তরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিলো, চট্টগ্রামের মৌলভী শহিদকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এরকম বহু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে শোক সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কণ্ঠ শিল্পী রফিকুল আলম, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, নাট্য চলচ্চিত্র অঙ্গের শিল্পীরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.