জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দিনের আলটিমেটাম

চলতি ফেব্রুয়ারির শেষ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চলমান পরীক্ষাগুলোর নতুন রুটিন প্রকাশ এবং পুলিশের হাতে আটক শিক্ষার্থীদের আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে আন্দোলন করার পর দুপুর ২টার দিকে তারা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তিনদিনের মধ্যে তাদের দাবি মনে নেওয়া না হলে রোববার সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ হুসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রোববার সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় আন্দোলন চলাকালে যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে আজ সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ করতে আসেন বিভিন্ন সরকারি কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের জন্য জড়ো হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানার ফটকের পাশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করতে দেখা যায়।

পুলিশের বাধার মুখে পড়া শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের উল্টো দিকের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। তখন তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দিল। আমাদের ৩০-৪০ জনকে নুরুর (ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক) লোক বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ আটক করেছে। আমাদের নারী সহযোদ্ধাদেরও গায়ে হাত তোলা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা কোনো দল বা ব্যক্তির লোক নই। আমরা নিজেদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের আটককৃত সহযোদ্ধাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ বলেন, শাহবাগ থেকে আমরা ১০-১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নিয়েছি। এদের মধ্যে ২-৩ জন বাইরের। তাদের অভিভাবকদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তারা আসলেই আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.