পরমাণু নিয়ে আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইরান

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী ছয় দেশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার যে প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ দিয়েছে তা বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে তেহরান। ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যতম প্রধান পরমাণু আলোচক সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি একথা জানিয়েছেন।

শনিবার রাতে আইআরআইবি’র এক টকশো’তে অংশ নিয়ে ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল পরমাণু সমঝোতার ভবিষ্যত রোডম্যাপ নির্ধারণের জন্য এটিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে নিয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমেরিকা ২০১৮ সালে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও দেশটিকে সম্ভাব্য বৈঠকে আমন্ত্রণ করতে চান বলে জানিয়েছেন বোরেল।

ইরানের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক বলেন, আমরা বোরেলের প্রস্তাব বিবেচনা করছি এবং চীন ও রাশিয়ার মতো মিত্রদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। আমেরিকা যদি পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে এবং সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চায় তবে কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই। তবে তারপরও ইইউ’র প্রস্তাব নিয়ে ইরানি নীতি নির্ধারকরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে তা যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান আব্বাস আরাকচি।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছিলেন, পরমাণু সমঝোতা নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসন ইরানসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.