তুরস্কে আটক নারী আইএস নিয়ে ২ দেশের ঝগড়া

এক নারী আইএস কর্মী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দুই দেশেরই নাগরিক ছিলেন। কিন্তু তুরস্কে তিনি আটক হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া দ্রুত তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়। আর তাতেই বেজায় চটেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। তাঁর সাফ কথা, অস্ট্রেলিয়া এভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং দায় এড়াতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ার দাবি, তারা নিয়ম মাফিক কাজ করেছে মাত্র।

নিয়ম অনুযায়ী, ওই নারী আইএস কর্মী যে দেশের নাগরিক সে দেশের কাছেই পাঠিয়ে দেবে তুরস্ক। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, ছয় বছর পর্যন্ত ওই নারী তাঁর দেশে ছিলেন। তারপর চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁর পরিবারও সেখানে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ওখান থেকেই তিনি সিরিয়া যান। আইএসে যোগ দেন। আর্ডার্নর মতে, এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডকে তাঁর দায় নিতে গেলে সেটা ঠিক হবে না। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

আর্ডার্নের মন্তব্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, অটোমেটিক্যালি ওই নারীর নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে গেছে। আর তাঁর দায়িত্ব হলো অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা। তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুসারে এই ধরনের ঘটনা হলেই সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে যায়।

তুরস্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তিনজন নারী আইএস কর্মী সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তুরস্কে ঢুকতে চেয়েছিল। সীমান্তরক্ষীরা তাঁদের ধরেছে।

পশ্চিমা দেশ থেকে আইএসে যোগ দেয়া হাজার হাজার মানুষ এখন সিরিয়া ও ইরাকের জেলে আছে। তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিধায়। এখন এই আটক নারীর ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিরোধ সামনে এসেছে। সূত্র: রয়টার্স, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.