আরও ২ দিন রিমান্ডে থাকবেন সু চি

সামরিক অভ্যুত্থানে আটক মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি আগামী বুধবার পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন। এর আগে, সোমবার পর্যন্ত তিনি রিমান্ডে থাকবেন বলে জানানো হলেও তার আইনজীবী নতুন এই তথ্য জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকিটকি আমদানি এবং আইন লঙ্ঘন করে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে সামরিক বাহিনী। এই অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোমবার শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সু চির আইনজীবী খিন মং জ্য বলেছেন, তিনি আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন। তার এই রিমান্ডের সময় বৃদ্ধি ন্যায়সঙ্গত কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আপনি বিবেচনা করুন।

সু চির আইনজীবী দলের একজন সদস্য বলেছেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সু চির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনজীবী নিয়োগ দেবেন কিনা জানতে চেয়েছিলেন।

এদিকে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় সামরিক বাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর সাঁজোয়া যান রাস্তায় নামানোর ঘটনা এটাই প্রথম। অভ্যুত্থানবিরোধীদের ধরপাকড়ের প্রস্তুতি হিসেবেই এ টহল বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

দেশটিতে রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে প্রায় সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একে সেনা শাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমন অভিযানের প্রস্তুতির আভাস হিসেবে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিক্ষোভকারীরা বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আটক ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।

এদিকে, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করে বলেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বিবৃতিতে, বৈধ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে রাস্তায় নামা লোকজনের ওপর চড়াও না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজপথে নেমে আসছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে পুলিশও কঠোর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সেনা অভ্যুত্থানের দিনেই নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি-সহ উর্ধ্বতন নেতাদের গ্রেফতারের পর বহু বিক্ষোভকারীকেও আটক করা হচ্ছে। তবে তাতেও দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.