পিকে হালদারের সহযোগী অনিন্দিতাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

পিকে হালদারের সহযোগী অনিন্দিতা মৃধাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসাথে গ্রেফতার সুকুমার মৃধার ভাতিজা অসীম কুমার মিস্ত্রিকে নেওয়া হয়েছে আদালতে।

আজ মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে দুদকে নিয়ে আসা হলে অনিন্দিতা মৃধার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিম।

অনিন্দিতা মৃধার বাবা সুকুমার মৃধা পিকে হালদারের আয়কর সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ছিলেন। সে সূত্রে পিকে হালদারের অবর্তমানে তার সম্পদ সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার তত্ত্বাবধানে ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অনিন্দিতা মৃধাকে উইন্টার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক করেন পিকে হালদার।

এ কোম্পানির নামে এফএএস ফিন্যান্স এন্ড লিজিং ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনানশিয়ালি সার্ভিস থেকে ভুয়া নামে ঋণ তুলে নেন ১৬৮ কোটি টাকা। যা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়।

এছাড়া পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদারের নামে যে অর্থ লোপাট ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে সেখানেও অনিন্দিতা মৃধার ব্যাংক হিসাব ব্যবহারের প্রমাণ রয়েছে।

গত ২১ জানুয়ারী সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে দুদক।

এর আগে পিকে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। এ তালিকায় সুকুমার ও তার মেয়ে অনিন্দিতাও রয়েছেন। পরে এ দু’জনসহ ৬২ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করে দুদক।

প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবহার করে লিজিং কোম্পানি থেকে তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বড় অংশই পাচার হয়েছে বিদেশে।

এদিকে পিকে হালদারের সংশ্লিষ্টতায় ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগে সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) অসীম কুমার মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে দুদক। অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের অবৈধ সম্পদ যা সুকুমার মৃধা দেখভাল করতেন, তার অনেকাংশই পাচারে সহযোগিতা করেন অসীম কুমার মিস্ত্রি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.