‘রোহিঙ্গা ইস্যু, ফেরত পাঠানোই হবে একমাত্র সমাধান’

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই হবে রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান। আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের পাশে থাকারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বৈঠকের বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের উদ্ধৃতি দিয়ে সহকারী প্রেস সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে তুরস্ক সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে’। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর পরই তুরস্কের ফাস্ট লেডির বাংলাদেশের কক্সকাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো পরিদর্শন করায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর বিনিময়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে এই সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত সেদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা জানালে প্রধানমন্ত্রী তাতেও সন্তোষ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বৈরুতে বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতে সহযোগিতার জন্যও তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূততে সম্ভাব্য সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করেন। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকেও শুভেচ্ছা জানান।

এই প্রথম রাষ্ট্রদূত হয়ে মুস্তাফা তুরান বাংলাদেশে দায়িত্ব পেয়েছেন এবং দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের তার দেশের আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এবং ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিজস্ব ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তুরস্কের একটি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি খাতে একশ’ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।

তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করায় রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.