ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে জোড়া আঘাত

চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে এসে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই ব্যাটসম্যান কাইল মায়ার্স এবং এনক্রুমাহ বোনারের রেকর্ড ২০৭ রানের জুটিতে টেস্ট হারার শঙ্কায় টাইগাররা। এর মধ্যে আবার চা বিরতের ঠিক আগের ওভারে নাইম হাসানের বলে বোনারকে স্ট্যাম্পিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেন লিটন দাস। তবে চা বিরতি থেকে ফেরার পর ২ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ৮৬ রান করা বোনারকে ফেরান তাইজুল। এরপর ৯ রান করা ব্ল্যাকউডকে বোল্ড করেন নাঈম হাসান।

এর আগে পঞ্চম দিন চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩৯৫ রান। সে লক্ষে দিনের শুরুটা ভালো করেছে সফরকারীরা। তাই বলে বাংলাদেশের বোলারা যে সুযোগ তৈরি করতে পারেননি তা নয়। এই জুটি ভাঙার পরিস্কার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৪৭ রানের মাথায় তাইজুলের বল প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোরালো আবেদনে করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার, বাংলাদেশও নেয়নি রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগেছিল স্ট্যাম্পে, রিভিউ নিলে উইকেট পেতেন তাইজুল। মায়ার্সই একটু পর আবারো ৪৯ রানে জীবন পান। মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

আউট হতে পারতেন বোনারও। নাঈম হাসানের একটি তীক্ষ্ণ টার্ন করা বল বোনারের প্যাডে এসে লাগে। এবারও রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ, বোনারও বেঁচে গেলেন ২৫ রানে। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগে তাইজুলের বল আরো একবার প্যাডে লাগে মায়ার্সের। জোড়ালো আবেদন করেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। এবার বাংলাদেশ অধিনায়ক রিভিউ নিলেও দুর্ভাগ্যের জেরে রিভিউয়ে দেখা গেল উইকেট আম্পায়ার্স কল। ফলে ৯১ রান করা মায়ার্স আবারো জীবন পেলেন। পরে মুস্তাফিজের করা ৮৩তম ওভারে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

এদিকে পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে উইন্ডিজদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩১৯ রান। জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন আর মাত্র ৭৬ রান।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.