মুমিনুল-লিটনের ব্যাটে বড় লিড নিয়ে ছুটছে বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের ৪র্থ দিনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল হক। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলছেন তিনি।

গতকাল ১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মুমিনুলকে যোগ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকও। আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ৮ রান যোগ করেন। তবে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটে বড় লিড পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে খেলছে। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২০ রান।

ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৯ রান। ফিফটি তুলে নিয়ে দশম সেঞ্চুরির পথে মুমিনুল অপরাজিত রয়েছেন ৮৩ রানে। তার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটি গড়ে ৩৮ রানে খেলছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস।

আগের দিনের শেষ সেশনে ৩ উইকেটে ৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনের সকালে শুরুর পৌনে এক ঘণ্টা ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন মুশফিকুর রহীম ও মুমিনুল হক। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপদ। রাহকিম কর্নওয়ালের একটি অফস্ট্যাম্পের ডেলিভারি অনসাইডে খেলতে গিয়ে মিস করেন মুশফিক, বল আঘাত হানে প্যাডে।

বোলার ছাড়া বাকি ফিল্ডারদের কেউ সেভাবে আবেদনও করেননি। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। মুশফিক রিভিউ নিয়েছিলেন। কাজ হয়নি, বল উইকেট হিট করেছে দেখা যায়। ফলে ৪৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-মুমিনুলের জুটিটি ছিল ৪০ রানের।

প্রথম ইনিংসে চতুর্থ উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এবার ছয় নম্বরে ব্যাট করতে আসেন লিটন দাস। ঊরুর ইনজুরিতে ভোগা সাকিবকে ড্রেসিংরুমের সামনে বসে প্র্যাকটিস কিট পরে বসে থাকতে দেখা যায়। তার চোটের বিষয়ে আজ কোনো আপডেট দেয়নি বিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি ম্যাচে আর খেলা হবে না সাকিবের।

দলের অন্যতম সেরা তারকার অনুপস্থিতি পূরণের চেষ্টায় প্রথম সেশনে পুরোপুরি সফল মুমিনুল-লিটন জুটি। মুশফিক সাজঘরে ফেরার কিছু পরই ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি করতে ৮৪ বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ৫টি চারের মার।

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংস থেকে ৪৩০ রান পায় বাংলাদেশ। জবাবে ২৫৯ রানে থামে ক্রেগ ব্রাথওয়েটদের প্রথম ইনিংস। ১৭১ রানের বড় লিড পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে এগোচ্ছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.