অর্থ আত্মসাৎ: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবেদনের শুনানি শুরু

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। সাঈদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন করেন সাঈদী। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এ আবেদন করা হয়েছে।

গত ১১ জানুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক সৈয়দা হোসনে আরা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ মোট ছয়জন আসামি। অপর পাঁচ আসামি হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুস, ইসলামী সমাজকল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হক।

আসামিদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল হক পলাতক। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহান মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংস্থাটির সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরে বাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ নিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.