জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান সু চির

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনগণকে বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আজ সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের জনগণের সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নেওয়া উচিত নয় এবং এর বিরুদ্ধে অবশ্যই বিক্ষোভ করা উচিত।

সোমবার সকালে আটকের পর থেকেই সু চি এবং তার দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীদের আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। দেশের সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার ফলে দেশে আবারও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালু হবে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনএলডি। সু চির নাম নিয়েই এসব বিবৃতি দেওয়া হলেও সেখানে তার স্বাক্ষর ছিল না।

সু চির বরাত দিয়ে তার মুখপাত্র মাইও নিন্ত ওই বিবৃতিতে জানান, আমি জনগণকে এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল অং সান সূচি। গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সু চির দল। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশটির সেনাবাহিনী।

ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন ছড়ায়। সোমবার এমন গুঞ্জনই প্রমাণ হলো। সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে মিয়ানমারে। এমন বাস্তবতায় মিয়ানমার কোন পথে হাঁটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জরুরি অবস্থার মধ্যেই রাজধানী নাইপিদোতে মোবাইল ফোন ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন মায়াবতির সম্প্রচার চালু রয়েছে। সোমবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি মায়াবতির মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। টেলিভিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.