করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে আসছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্স অনুযায়ী আমরা করোনা ফেইজ আউট পর্যায়ে চলে আসছি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, আমাদের এখন ৩ শতাংশ সংক্রমণের হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্সে বলে ৩ শতাংশের নিচে যখন আসতে থাকে তখন করনো আস্তে আস্তে দেশ থেকে ফেজ আউট হয়ে যায়। কাজেই সেই পর্যায়ে চলে আসছি।

আজ সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের একাদশ অধিবেশনে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আনিত বিলের ওপর আনিত সংশোধনী প্রস্তাবে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা কিভাবে মোকাবিলা করেছি সেটা আপনারাও জানেন, দেশবাসীও জানে। বিশ্ববাসী প্রশংসা করেছে। ব্লুমবার্গ বাংলাদেশকে ২০তম দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দু’বার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে চিঠি পাঠিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ৮ হাজার লোক মারা গেছে, আমরা সকলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করি। পক্ষান্তরে ভারতে ১ লাখ ৬০ হাজার মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র এতো শক্তিশালী দেশ সেখানে সাড়ে ৪ লাখ মৃত্যুবরণ করেছে। যুক্তরাজ্যে ১ লাখের বেশি। প্রধানমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে আমাদের গাইড করছেন। একটি মিটিংও তিনি বাদ দেননি। আমাদের প্রতিদিন নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, মাত্র একটি ল্যাব ছিলো বাংলাদেশে। এরপর ২০০টি ল্যাব এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায়নি। ৩৫টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিলো, আমরা ৯০টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এনেছি। অনেকে বলেছিলেন ভেন্টিলেটর লাগবে। কিন্তু এখন সব ভেন্টিলেটর খালি পড়ে রয়েছে। দরকার ছিলো সেন্ট্রাল হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা। আমরা যখন এটি জানলাম তখন লকডাউন থাকা অবস্থায় নিয়ে আসছি কয়েক হাজার হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। ফলে আমাদের মৃত্যুহার কম রাখতে সক্ষম হয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, সমগ্র বাংলাদেশে প্রতিটি ব্যক্তির হেল্থ ডাটা আমরা করতে পারি সেই ব্যবস্থাও আমরা হাতে নিয়েছি। যেখানেই দুর্নীতি হয়েছে সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, যারা করেছে তাদেরকে আমরা জেলে পর্যন্ত নিয়ে গেছি। আমরা চাচ্ছি স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন হোক। আগামী ৫ বছরে স্বাস্থ্যসেবার খাতে বাজেট প্রায় দ্বিগুন হয়ে যাবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.