আমিও চিন্তা-ভাবনা না করেই বললাম হ্যাঁ: নিপুণ

২০০৬ সালে থেকে চলচ্চিত্র কাজ শুরু করি আমি। তো প্রথম যেদিন এলাম কী খাওয়া যায় ভাবছিলাম। টিমের কেউ বলছিল আপা এইটা আনি, কেউ ওইটা আনি। এতো খাবারের নামের ভিড়ে হঠাৎ কে যেন একজন বললো আপা মোল্লার ঝালমুড়ি খাবেন? আমিও চিন্তা-ভাবনা না করেই বললাম, হ্যাঁ আমি ঝালমুড়িই খাবো। আমার এফডিসির প্রথম খাবার ছিল মোল্লার ঝালমুড়ি। এরপর থেকে এফডিসিতে এলে যখন কোনো খাবার খেতে ইচ্ছে করতো না, তখনও এই ঝালমুড়ি ভালো লাগতো। বলছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

তিনি বলেন, মোল্লার ঝালমুড়ির একটা অন্যরকম স্বাদ রয়েছে। যা আমরা মিস করবো। মোল্লা তার গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের এই পরিবারের সদস্য ছিলেন। এখানকার মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। তিনি প্রিয় ঘর এফডিসি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তবে তার যখন এখানে আসতে ইচ্ছে করবে অবশ্যই আসবেন। গ্রামে গিয়ে পরিবার নিয়ে বাকি দিনগুলো সুন্দরভাবে কাটুক এই প্রত্যাশা সবার। আয়োজকদের ধন্যবাদ মোল্লার পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদেরকেও এই ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

১৯৭২ সাল থেকে এফডিসিতে মুড়ি বিক্রি করে যাচ্ছেন আব্দুল মান্নান মোল্লা। বয়স হয়েছে। এবার তিনি ফিরতে চান গ্রামের বাড়ি। শারীরিক অবস্থাও ভালো না। তাই একদল তরুণ সাংবাদিক মোল্লাকে সহযোগিতার জন্য ৩ দিনব্যাপী মুড়ি উৎসবের আয়োজন করেন। প্রতিদিন দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলা অনুষ্ঠানের উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শনিবার বিকেলে মোল্লাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হাজির হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ ও চিত্রনায়ক ইমন। এদিন মোল্লাকে আর্থিক সহযোগিতায় পাশাপাশি মোল্লাকে নিয়ে অনেক কথাই বললেন এই নায়িকা।

মোল্লার হাতের ঝালমুড়ি খেয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, সালমান শাহ, মান্না, রিয়াজ, শাবনূর, ওমর সানী, মৌসুমী, ফেরদৌস, পপি, ডিপজল থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের প্রায় সকল চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী।

বিদায় বেলায় এমন একটি আয়োজন করায় মোল্লাও ভীষণ খুশি। তাকে যে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানো হচ্ছে। যা কিনা এফডিসির শিল্পী, কলাকুশলী সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন।

অর্থসূচক/এএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.