বিচার শুরুর আগেই সরে গেলেন ট্রাম্পের ৫ আইনজীবী

সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে তার পুরো আইনজীবী প্যানেল সরে দাঁড়িয়েছে। আইনি কৌশল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই প্যানেল সরে দাঁড়িয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এই প্যানেল সংবিধানের আলোকে অভিশংসন ঠেকাতে ট্রাম্পের হয়ে লড়ার পরিকল্পনা করেছিল।

আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় অভিশংসন বিচারে ট্রাম্পের হয়ে লড়ার জন্য আইনজীবী খুঁজে পেতে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে ঠিক তখনই এ নাটকীয় পরিস্থিতি হলো। আগামী সপ্তাহে আইনি শুনানি ও কদিনের মধ্যে বিচার শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইনি প্রতিনিধিত্বহীন হয়ে পড়েছেন।

আইনজীবীদের মধ্যে যে দুই জন থাকবেন বলে ধারণা ছিল সেই বুচ বাওয়ার্স ও ডেবরাহ বারবিয়ারও এখন আর নেই।

এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, সমঝোতার মাধ্যমে তারা ট্রাম্পের আইনি দল থেকে সরে গিয়েছেন। প্রধান আইনজীবী হিসেবে দলটি গড়ে তুলেছিলেন বাওয়ারস।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি ওই দলে যোগ দেওয়া নর্থ ক্যারোলাইনার আইনজীবী জশ হাওয়ার্ডও চলে গেছেন। এদিকে সাউথ ক্যারোলাইনার আইনজীবী জনি গ্যাসার ও গ্রেগ হ্যারিসও ট্রাম্পের হয়ে লড়বেন না।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পরও তাকে দোষী সাব্যস্ত করার বৈধতা নিয়ে বিতর্কে নামতে চেয়েছিলেন ওই আইনজীবীরা। কিন্তু ট্রাম্প চেয়েছিলেন নির্বাচনে অনেক কারচুপি হয়েছে ও তার কাছ থেকে নির্বাচন কেড়ে নেওয়া হয়েছে এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠা হোক। এছাড়া ওই আইনজীবীদের অগ্রিম কোনো ফি দেওয়া বা কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।

ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা উপদেষ্টা জেইসন মিলার সিএনএনকে বলেছেন, ইতিমধ্যে দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়া একজন প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করার ডেমোক্র্যাট উদ্যোগ পুরোপুরি অসাংবিধানিক ও দেশের জন্য অত্যন্ত খারাপ। ঘটনা হচ্ছে ইতিমধ্যে ৪৫ সিনেটর ভোট দিয়ে জানিয়েছেন এটি অসাংবিধানিক। আমরা অনেক কাজ গুছিয়ে রেখেছি, কিন্তু আমাদের আইনি টিমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, অল্প সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

১৪ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হন। এ হামলায় উসকানিদাতা হিসেবে ট্রাম্পকে দায়ী করা হয়েছে। এ কারণে ১৩ জানুয়ারি তাকে মার্কিন কংগ্রেসে অভিশংসন করা হয়। এর আগেও ট্রাম্পকে একবার অভিশংসন করা হয়েছিল।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.