এফডিসির সেই মোল্লা ফিরছেন বাড়ি

রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, মান্না, সালমান শাহ থেকে শুরু করে এ সময়ের সব তারকা ও এফডিসির কলাকুশলীদের প্রিয় মুখ, অনেক দিনের চেনা মোল্লা, আর তার ঝালমুড়ি। অর্থসূচক অনলাইনে তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাড়া মিলছে বিভিন্ন মহল থেকে।

জীবনসায়াহ্নে এসে আবদুল মান্নান মোল্লা বাড়ি ফিরতে চান। বাড়ি ফিরে জীবনধারণের জন্য দরকার কমপক্ষে এক লাখ টাকার। কিন্তু একজন মুড়ি বিক্রেতার সেই সামর্থ্য কোথায়? ১৯৭২ সাল থেকে এফডিসির মসজিদে বিনা পারিশ্রমিকে খাদেম হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এখনো সেই পেশায় নিয়োজিত আছেন। পাশাপাশি ঝালমুড়ি বিক্রি করে চলছিল তার জীবিকা।

বর্তমানে তিনি অসুস্থ, হাত-পা আগের মতো সচল নেই। প্যারালাইসিসের কারণে শরীরের একপাশ অবশ, এক হাত দিয়েই সারতে হয় সব কাজ।

অর্থসূচক অনলাইনে প্রতিবেদনটি  প্রকাশের পরপরই দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে আবদুল মান্নান মোল্লার খবরটি প্রচার করে। পরে এফডিসিতে এক আড্ডায় কয়েকজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক মোল্লাকে নিজ বাড়িতে সসম্মানে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মোল্লার মুড়ি উৎসবের মাধ্যমেই তা করা হবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আয়োজকরা বলেন, খবরটি প্রকাশ করার পর থেকেই চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীসহ চলচ্চিত্র কলাকুশলী মোল্লার পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমরা চেষ্টা করছি সম্মানের সঙ্গে মোল্লা ভাইকে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে। তাই এই আয়োজন। আশা করি চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা শেষবারের মতো মোল্লার মুড়ি খেতে আসবেন। এবং বাড়িয়ে দেবেন সাহায্যের হাত।

আগামী শুক্র, শনি ও রোববার, বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (বিএফডিসি) এই আয়োজন করা হয়েছে।

উৎসব আয়োজনে রয়েছেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, এ এইচ মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার, রুহুল আমিন প্রমুখ। আয়োজকরা মুড়ি উৎসবের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএফডিসি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ ১৮ সংগঠনকে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.