তমা মির্জাকে মারধর, স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি

যৌতুকের জন্য চিত্রনায়িকা মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমাকে (তমা মির্জা) মারধরের ঘটনায় স্বামী হিশাম চিশতীর বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যৌতুকের জন্য মারপিটসহ হুমকি দেয়ার অভিযোগে হিশাম চিশতীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তমা মির্জা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দেড় বছর আগে চিত্রনায়িকা মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমার (তমা মির্জা) সঙ্গে বিয়ে হয় কানাডা প্রবাসী হিশাম চিশতীর। বিয়ের পরে তমা মির্জাকে অকারণে মারধর করতেন হিশাম। ব্যবসার জন্য শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তমার বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তমার বাবা-মা হিশামকে বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা দেন। এর কিছুদিন পর হিশাম আবারও তমাকে মারধর করেন। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তমা বাবার বাড়িতে চলে আসেন।

মামলার অভিযোগে তমা আরও বলেন, ‘২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে হিশাম আমার বাসায় আসে। আমাকে মারধর করলে চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে আমার বাবা-মা এলে হিশাম তাদেরও মারধর করে। ঘরে থাকা ফুলদানি দিয়ে আমার মায়ের পিঠে ও মাথায় এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। যার ফলে আমার বাবা-মাসহ আমি আহত হই।’

‘এরপর হিশাম আমাকেসহ আমার বাবা-মাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। সে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার কাছে থাকা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের অনেক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশেরও হুমকি দেয়।’

২০১৯ সালের ৭ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীকে বিয়ে করেন তমা মির্জা। বর্তমানে তমা মির্জা দেশে থাকলেও হিশাম চিশতী থাকছেন কানাডায়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.