প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায়ের জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার জাকির বলেন, জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়েছি। রায়ে আট আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কোনো সাক্ষী আসামিরা মামলার সঙ্গে জড়িত- এমন কথা বলেনি। রায়ে আসামিরা খালাস পাবেন এই প্রত্যাশা করছি।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে দীপন কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিনই তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এর আগে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবির সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।

এ মামলার মোট ৮ আসামির মধ্যে ছয়জন কারাগারে আটক। কারাগারে আটক প্রত্যেক আসামি আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অন্য দুই আসামি পলাতক। ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর একই বছরের ১৯ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত পলাতক দুই আসামি মেজর জিয়া ও আকরামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.