বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার, আট বছর বয়সেই ৩ খুন

একেকজনের কাছে আনন্দের অভিব্যক্তি যেমন ভিন্ন, তেমনই আনন্দ পাওয়ার কারণটাও ভিন্ন। কেউ প্রকৃতি দেখে আনন্দ পায় আবার কেউ মজার কোন দৃশ্য দেখে আনন্দ পায়। তবে খুন করে আনন্দ পায় এমন মানুষও আছে পৃথিবীতে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় তাদেরকে বলা হয় স্যাডিস্ট, যারা অন্যকে আঘাত করে আনন্দ পায়।

তেমনই এক শিশু অমরজিৎ। ইতোমধ্যে ‘বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ভারতের ৮ বছর বয়সী বালক অমরজিৎ। এ বয়সেই তিনটি হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

দেশটির বিহারের মুশাহার গ্রামের এই বালক প্রথমে তার ছয় বছর বয়সী চাচাতো বোনকে খুন করে। এছাড়াও ধারণা করা হয়, নিজের আট মাস বয়সী বোনকেও খুন করেছে সে।

অমরজিতের চাচার মতে, পরিবারের কিছু সদস্য এই অপরাধের কথা জানতেন; তবে তারা একে বিবেচনা করতেন ‘পারিবারিক বিষয়’ হিসেবে। ২০০৭ সালে অমরজিৎ তৃতীয় একটি শিশুকে হত্যা করার আগ পর্যন্ত সব কিছু এভাবেই চলছিল। তার শেষ হত্যার শিকার ছয় মাসের শিশুকন্যা খুশবু।

অমরজিতের প্রতিবেশী খুশবুর মা পুলিশকে জানান, মেয়েকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে আর খুশবুকে খুঁজে পাননি।

এর কয়েক ঘণ্টা পর অমরজিৎ স্বীকার করে, সে শিশুটিকে ইট দিয়ে আঘাত এবং শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। এরপর সে গ্রামবাসীদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়, যেখানে খুশবুকে পুতে রেখেছিল।

এ ঘটনায় পুলিশ অমরজিৎকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে স্বীকার করে নেয়, শুধু খুশবু নয়, তিন মাস আগে নিজের বোন এবং আরও আগে চাচাতো বোনকেও সে খুন করেছে।

পুলিশ ইন্সপেক্টর শতুধন কুমার জানান, সবগুলো হত্যাকাণ্ড প্রায় একইভাবে করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, পুলিশি হেফাজতে অমরজিৎ অনেক হেসেছে, তবে তেমন একটা কথা বলেনি।

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, সে সময় একজন মনোবিজ্ঞানী বলেছিলেন, এই বালক একজন ‘স্যাডিস্ট, যে অন্যকে আঘাত করে আনন্দ পায়’।

ভারতীয় আইন অনুযায়ী, একজন শিশুকে কারাগারে পাঠানো নিয়ম নেই। কারাগারের পরিবর্তে বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদের শিশু নিবাসে রাখা যেতে পারে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.