অর্থপাচার তদারকিতে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নাম চেয়েছেন হাইকোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে গত ২০০৮ থেকে ২০২০ সালে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নাম, পদবী, ঠিকানাসহ বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারের বিষয়ে জারি করা রুল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) এ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০০৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত অর্থপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এসব কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা আছে কিনা, ব্যর্থ হয়ে থাকলে কেন হলেন, অর্থপাচারের বিয়টি তারা টের পেয়েছিলেন কিনা, পেয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন কিনা, অর্থপাচারের সঙ্গে তাদের যোগসাজশ আছে কিনা তাও জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এছাড়া পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন, পি কে হালদারের আত্মীয় পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক অমিতাভ অধিকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক এবং পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান।

গত ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন আদালত।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.