১৩২ টেস্টের অপেক্ষার অবসান আলিম দারের
প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে আইসিসির অভিজাত আম্পায়ারদের তালিকায় (এলিট প্যানেল) নাম উঠেছিলো আলিম দারের। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে দেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে। অবশেষে এই আম্পায়ারের অপেক্ষা ঘুচতে যাচ্ছে তাঁর। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেই প্রথমবার টেস্ট পরিচালনার জন্য মাঠে নামবেন আলিম দার।
টেস্ট আম্পায়ার হিসেবে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে ঢাকাতে অভিষেক হয় আলিমের। কিন্তু স্বাগতিক দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের অভিযোগে বেশ ২০০২ সালেই টেস্টে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের নিয়ম প্রবর্তন করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একারণে ১৩২ টেস্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকলেও দেশের মাটিতে সেই সংখ্যাটি শূন্য।
যদিও কোভিড-১৯ এর সময়ের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই নিয়ম সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। স্বাগতিক ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার অনুমতি প্রদান করেছে আইসিসি। আর ইতোমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আইসিসির পক্ষ থেকে আম্পায়ার ও কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সেখানে আলিমের সঙ্গে দুই টেস্টেই নাম রয়েছে আহসান রেজা ও ম্যাচ রেফারি জাভেদ মালিকের। ঘরের মাঠেই টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘুচতে যাচ্ছে ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন আলিম দার।
এই প্রসঙ্গে এই নামি আম্পায়ার বলেন, ‘পাকিস্তনে টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়াতে পারা দারুণ আবেগঘন একটি বিষয়। অবশেষে প্রায় ১৭ বছর ও ১৩২ টেস্টের অপেক্ষা ঘুচতে যাচ্ছে। খেলোয়াড়দের মতই আম্পায়াররাও ঘরের মাঠে ম্যাচ পরিচালনা করতে মুখিয়ে থাকেন। যদিও সাদা বলের ম্যাচ পরিচালনা করতে নেমেছি। কিন্তু টেস্ট ফরম্যাট হলো আম্পায়ারিংয়ের সর্বোচ্চ মর্যাদা। আমি আনন্দিত যে দুটি দুর্দান্ত দলের মধ্যে দুটি টেস্ট পরিচালনা করতে দাঁড়াবো।’
ওয়ানডে আম্পায়ার হিসেবে আলিমের অভিষেক হয়েছিলো ২০০০ সালে। এখন পর্যন্ত তিনি ২১১ ওয়ানডেতে মাঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আর ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি আম্পায়ার হিসেবে অভিষেকের পর ৪৮ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন সাবেক বর্ষসেরা আম্পায়ার।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.